কুমিল্লার চিহ্নিত মানব পাচারকারী সুমন মিয়া ওরফে সুমন মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুমনকে আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহা উদ্দিন ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাকে ব্রাহ্মণপাড়ার সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানোর অভিযোগ আছে।
ওই দুইজনকে ভারতে পাঠানোর পর সুমন মেম্বারের মোবাইল ফোনের ভিডিও কলের স্ক্রিনসট সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর থেকে তাকে গ্রেপ্তারে থানা ও ডিবি পুলিশ অভিযান শুরু করে।
সুমন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং উপজেলার তেতাভূমি গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে। কুমিল্লা ডিবির ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার শংকুচাইল বাজারে রাস্তার উপর থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যাসহ নানা ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। সাবেক এমপি বাহারসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভারতে পাঠানোর বিষয়ে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে পৃথক ঘটনায় সাবেক এমপি বাহারের ক্যাশিয়ার খ্যাত ইঞ্জিনিয়ার জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের দমন-পীড়নে এমপি বাহারের পক্ষে অর্থ বিতরণের অভিযোগ রয়েছে।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর রেইসকোর্স এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।